চুইংগাম খেলে কি সত্যিই পরীক্ষা ভালো হয়? জানুন বিজ্ঞান কী বলছে!

চুইংগাম - এই ছোট্ট জিনিসটা সাধারণত আমরা সময় কাটানোর জন্য কিংবা মুখ ব্যস্ত রাখার জন্য খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, চুইংগাম পরীক্ষার সময় আপনাকে সাহায্য করতে পারে? হ্যাঁ, এটা কেবল রিউমার নয়, বরং আধুনিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন কিছু চমকে দেওয়া তথ্য যা জানলে আপনি নিজেও বলবেন - "ইউ আর কিডিং মি!"

১. চুইংগাম খেলে ব্রেন ‘ওয়ার্ম আপ’ হয়!

গবেষণায় দেখা গেছে, চুইংগাম চিবানোর সময় মুখের মুভমেন্ট ব্রেনকে ‘ওয়ার্ম আপ’ করে দেয়। ফলে আপনার মাথা আরও সক্রিয় হয়, যা পরীক্ষার আগে অনেক কাজে আসে।

২. মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে!

পরীক্ষা চলাকালীন মন বারবার ঘোরে, মাথা বিগড়ে যায়? গবেষণা বলছে, যারা পরীক্ষার সময় বা পড়ার সময় চুইংগাম খায়, তারা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় মনোযোগ ধরে রাখতে পারে।

৩. স্মৃতিশক্তি উন্নত করে!

চুইংগাম চিবানোর সময় আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, যার ফলে মস্তিষ্কে বেশি রক্ত প্রবাহিত হয়। এই বাড়তি অক্সিজেন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। স্বল্পমেয়াদি মেমোরিতে এটি দারুণ কাজ করে।

৪. স্ট্রেস কমায়, পরীক্ষার ভয় দূর করে!

পরীক্ষার আগে নার্ভাস হয়ে যাই আমরা সবাই। কিন্তু চুইংগাম চিবানোর সময় কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে যায়। ফলে আমরা একটু বেশি রিল্যাক্সড অনুভব করি।

৫. মুড ভালো করে!

ডোপামিন নামের হরমোন নিঃসরণ হয় যখন আমরা চুইংগাম খাই। এটি আমাদের মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে। রাগ, ভয় বা টেনশন - সব কিছু কমে আসে।

৬. রিফ্লেক্স বাড়ায়!

বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, চুইংগাম চিবানো অবস্থায় আমাদের প্রতিক্রিয়া বা রেসপন্স টাইম কিছুটা দ্রুত হয়। মানে প্রশ্ন দেখে দ্রুত বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে।

৭. মুখ ব্যস্ত, মন ফোকাসড!

চুইংগাম খাওয়া মানে আপনার মুখ তো ব্যস্ত, তাই মন গুলিয়ে যাওয়ার সুযোগ কম। এতে ব্রেন ডিসট্র্যাকশন থেকে অনেকটা মুক্ত থাকে।

৮. সময়ের সচেতনতা বাড়ায়!

অদ্ভুত শোনালেও, চুইংগাম খাওয়ার সময় আমাদের মাথা টাইম ট্র্যাক রাখতে একটু বেশি সচেতন থাকে। এটা পরীক্ষার সময় টাইম ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করে।

৯. চুইংগামের গন্ধও সাহায্য করে!

পেপারমিন্ট বা ফ্রুটি গন্ধের চুইংগাম ব্রেনকে সতেজ রাখে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট গন্ধ পরীক্ষার সময় পারফরম্যান্স বাড়াতে পারে।

১০. প্রস্তুতির সময় এক্সপেরিমেন্ট করুন!

পরীক্ষার হলে সবসময় চুইংগাম খাওয়ার অনুমতি না-ও থাকতে পারে। কিন্তু প্রস্তুতির সময় আপনি এটা ব্যবহার করে নিজে বুঝে নিতে পারেন - এটা আপনার জন্য কাজ করে কিনা।

শেষ কথা

চুইংগাম খেলে পরীক্ষা ভালো হবে - এটা যাদু নয়, বরং বিজ্ঞানসম্মতভাবে যুক্তিসঙ্গত। এটা যেমন আপনার ব্রেনকে ‘অ্যালার্ট’ রাখতে সাহায্য করে, তেমনই মুডও ভালো রাখে। তবে অতি নির্ভরশীলতা না করে, একে একটি স্মার্ট হ্যাক হিসেবে নিন।

আপনি কি কখনো চুইংগাম খেয়ে পড়াশোনা করেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা নিচে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!

Comments